(Reference: http://flavorwire.com/309836/a-peek-at-the-yayoi-kusama-illustrated-alices-adventures-in-wonderland/5)
চেনা চেনা না লাগলে সেই বহু পুরনো (এবং বিখ্যাত) ছড়াটা শোনানো প্রয়োজন,
“সা রে গা মা পা ধা নি,
বোম ফেলেছে জাপানি;
বোমের ভেতর কেউটে সাপ,
ব্রিটিশ বলে বাপ রে বাপ!”
কনটেক্সটা বুঝলেন তো? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হাতিবাগানের কাছে সেই যে বোম ফেলেছিল জাপানীরা (সে বোম অবশ্য ফাটেনি), সেই প্রসঙ্গেই! বাঙ্গালী তো, একটু রঙ চড়িয়ে বলতে আমরা বরাবরই ভালোবাসি, আর সেটা এমন কিছু দোষেরও নয় বরং বেশ ক্রীয়েটিভ ব্যাপার!
হাতিবাগানের বোম না ফাটলেও, জাপানিদের বোমা ইন জেনারাল ফাটে এবং সে বিস্ফোরণে আপনার, আমার ম্যাদামারা, ক্লিশেস-এ চাপা পড়া ব্রেনের মহানির্বাণ ঘটবেই, উনাগি সুশির দিব্যি!
ইয়াওই কুসামার কথাই ধরুন। ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’ তো কত বারই পড়েছি আমরা, ম্যাড হ্যাটারই বলুন কি চেশায়ার ক্যাট, কতদিন ধরেই তো তাদের দেখে আসছি (আদি ভার্সনের জন্য এখানে একবার ঢুঁ মারতে পারেন), কিন্তু কুসামা যে বিস্ফোরণটি ঘটালেন তার তুলনা মেলা ভার। ছোটবেলা থেকেই কুসামা যাই দেখুন না কেন, ছোট্ট রঙ্গীন বুদ্বুদ ঠিক ভেসে উঠবে। তো চোখের এহেন সমস্যাকে যে শিল্পের কাজেও লাগানো যেতে পারে, সে কথা কেউ ভেবেছিলেন আগে? অথচ দেখুন, কি মোক্ষম একটা কাজ করেছেন ভদ্রলোক, এই ইলাস্ট্রেশনস দেখার পর অ্যালিসের জগত কি আপনার কাছে একইরকম থেকে যেতে পারে?
কেইগো হিগাশিনোই বা কম যান কিসে? প্রথম তিন পাতার মধ্যে বলে দিলেন খুনী কে, অথচ পরের সাড়ে তিনশ পাতা ধরে এমন ভয়ঙ্কর সাসপেন্স তৈরী করলেন যে রাতের ঘুম, সকালের বাহ্য, দুপুরের ফেসবুকিং – সব মাঠে মারা গেল। ‘The Devotion of Suspect X‘ এর মতন বুদ্ধিদীপ্ত গোয়েন্দা উপন্যাস হাতে গুনে পাবেন। জাপানে তো ব্লকবাস্টার স্টেটাস পেয়েছিলই, ২০১১ তে রাজভাষায় অনুবাদের পরে যাকে বলে ইন্টারন্যাশনাল সেনসেশন তাই ফেলে দিয়েছে। পদার্থবিজ্ঞানী কাম ডিটেকটিভ, মানাবু ইয়ুকাওয়া কে ভালো না লেগে আপনার উপায় নেই। ডিটেকটিভ গল্পের মধ্যেও মানবিক অনুভূতিগুলো এত সূক্ষ্ম ভাবে নিয়ে এসেছেন হিগাশিনো, মুগ্ধতার রেশ পড়ে ফেলার বহুক্ষণ পড়েও থেকে যায়। অবশ্য সাটল ব্যাপারস্যাপারগুলো জাপানীরা এত চমৎকার করে থাকেন যে এ নিয়ে বেশী বলাটাই বাহুল্য! অজস্র উদাহরণ, তারই মধ্যে রিসেন্টলি দেখা আর পড়া দুটো রেফারেন্স রাখলাম, আপনারা চোখ বোলালে ভারী খুশি হব।
একটা গান বা ইন্সট্রুমেন্টাল মিউজিক বারেবারে শুনে যাচ্ছি এরকম ঘটনা আমার সাথে মাঝেমাঝেই হয়, আপনাদের সাথেও হয় নিশ্চয়। কিন্তু শুধু একটা সুরের জন্য একটা সিনেমার ট্রেলার বারে বারে দেখছি? সাম্প্রতিক অতীতে একবারই ঘটেছে, জুন মিয়াকের ‘লিলিজ ইন দ্য ভ্যালি‘ শোনা ইস্তক ‘পিনা‘র ট্রেলার বোধহয় শ’শ’ বার দেখে ফেলেছি। পিনা বশের ঐশ্বরীয় কোরিওগ্রাফি বা উইম ওয়েন্ডারসের অসামান্য সিনেমাটোগ্রাফির নমুনা দেখার পরেও, ‘পিনা’ নিয়ে উন্মাদনাটা প্রথম জাগিয়ে তোলেন জুন। হন্টিং কথাটা বহুব্যবহারে জীর্ণ সে কথা মানছি কিন্তু আর কিই বা বলা যায় একে!
তাই বলছিলাম, ভালো তো অনেক কিছুই লাগে – কিন্তু সম্পূর্ণ নতুন কিছু পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। ভরসা বলতে ওই জাপানী বিস্ফোরণ, প্রতিভার।
আর হ্যাঁ, জুন মিয়াকে কে ভালো লেগে থাকলে এটাও মিস করবেন না – https://www.youtube.com/watch?v=xPlFFsAJQKM! এত ভালো ফাঙ্কি জ্যাজ শোনাবার লোক আর কই?
Now I am really interested. I was talking to a Korean colleague of mine, and came to know that there is apparently a recent Korean movie adaptation, called the Perfect Number, which is equally, if not more, chilling.
LikeLike
সিনেমাটার কথা তোমার থেকেই জানলাম প্রথম। দেখার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে, যদি ৬০-৭০% ও নামাতে পারে, রীতিমতন উপভোগ্য একটি চলচ্চিত্র হবে।
LikeLike