মূল লেখায় যাওয়ার আগে জানাই যে এই পোস্টটি সাড়ে বত্রিশ ভাজা ব্লগে প্রকাশিত একশোতম ব্লগ। তিন বছর ধরে যে সব চেনা ও অচেনা বন্ধুরা পোস্টের পর পোস্ট পড়ে উৎসাহ দিয়ে এসেছেন তাঁদেরকে জানাই অকুন্ঠ ধন্যবাদ। আশা করি এ বছরে আরো নিয়মিত লিখতে পারব আপনাদের জন্য।
১৩৭২ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ – পৌষ – মাঘ সংখ্যার সন্দেশে বেরিয়েছিল সত্যজিৎ রায়ের গল্প ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’, উৎসাহী বাঙ্গালী পাঠক মাত্রেই জানেন যে সেই প্রথম ফেলুদার আবির্ভাব। আর শুধু কি তিনি এলেন, অফ কোর্স তাঁর স্রষ্টার মতনই এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। বাঙ্গালী সালের হিসাবে এ বছরে তাই ফেলুদার আবির্ভাবের পঞ্চাশ বছর পূর্তি আর সেই উপলক্ষ্যে সাড়ে বত্রিশ ভাজায় ফেলুদাকে নিয়ে একাধিক লেখার পরিকল্পনা রইল। আজকে সেই সিরিজের প্রথম লেখা (ফেলুদা এবং গেম থিয়োরী নিয়ে আরো লেখা আসবে বটে তবে সিরিজটি শুধুই গেম থিয়োরী নিয়ে নয়) ।
এই ব্লগে এর আগে গেম থিয়োরী নিয়ে কিছু লেখা লিখেছি, মনে না পড়লে এখানে সেখানে দেখতে পারেন। গেম থিয়োরী চিন্তাবিদ মানুষের বিষয়, একজন বুদ্ধিমান মানুষ একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের সামলাতে কি সিদ্ধান্ত নেবেন সেই নিয়ে বিশ্লেষণের দরজা খুলে দেয় গেম থিয়োরী। এই প্রতিদ্বন্দ্বী কে হতে পারেন? আপনার ব্যবসায় আর যাঁরা ভাগ বসাতে চাইছেন, আপনার প্রেমিকার দিকে অন্য যে মানুষটি নজর দিচ্ছেন, আপনার প্রোমোশনের পথে আপনার যে সহকর্মী জোর টক্কর দিচ্ছেন……বা বা…আপনার বাদশাহী আংটি টি যিনি মেরে দেওয়ার তাল করছেন, এঁরা সবাই। আপনার অভীষ্টসিদ্ধির জন্য আপনি যেমন কিছু স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে রেখেছেন এনাদের কাছেও সেরকম স্ট্র্যাটেজির কমতি নেই, এই স্ট্র্যাটেজি – পাল্টা স্ট্র্যাটেজির লড়াইটা বুঝে আপনি (এবং আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীও) কোন পথ বাছবেন সেটাই হল লাখ টাকার প্রশ্ন। এই ধরুন, আপনি একজন সম্মানীয় জননেতা, সক্কাল সক্কাল খবর পেলেন এক দক্ষিণ ভারতীয় সি-ই-ও আপনার অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছেন। সুখবরই বলা যায়, এরকম অ্যাপয়েন্টমেন্টের অর্থ কম করে পাঁচটি লাখ। বাসি মুখে কড়কড়ে পাঁচ লাখ টাকা পাওয়া মুখের কথা নয় (আপনার কলীগরা যতই বলুক না কেন পাঁচ লাখ বাচ্চা ছেলের হাতের ময়লা), কিন্তু সকালের মিঠে রোদ হেসে উঠতে গিয়েও ঝিমিয়ে গেল। সাবকনশাসে গুনগুনানি শুরু হয়েছে ”বঙ্গারু লক্ষ্মণ, জর্জ ফার্নান্ডেজ”। কি করবেন আপনি? এদিকে যে সি-ই-ও আপনার সময় চেয়েছেন তাঁর মনেও ভালোই সংশয়, সোজাসাপটা তোয়ালে জড়িয়ে পাঁচ লাখ ফেলে দিলেই ল্যাঠা চুকে যাবে তা তো নাও হতে পারে। যদি জননেতাটি ভোটের ঠিক আগে এরকম রিস্ক না নিতে চান, তাহলে আবার সি-ই-ও কেই ঘুষ দেওয়ার দায়ে জেলে যেতে হবে না তো? তাঁরই বা করণীয় কি? আর ভদ্রলোকের যদি ছদ্মবেশী সাংবাদিক হওয়ার একটুও চান্স থাকে তাহলে তো আরোই চিত্তির, সাংবাদিকের আবার অন্য স্ট্র্যাটেজি সেট – ক্যামেরা বার করব না করব না? ধরা পড়লে তো প্রহারেণ ধনঞ্জয়, মানহানির মামলাও হতে পারে আবার ক্যামেরা ছাড়া টাকাটাই বেবাক গাপ হয়ে যাবে।
বুদ্ধিমানের মতন সিদ্ধান্ত নিতে গেলে প্রথমে দেখতে হবে কতটা ইনফরমেশন আছে আপনার কাছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনার পাওনাগন্ডা কি থাকবে (মানে পাঁচ লাখ টাকা নাকি পাঁচ বছরের জেল নাকি হাতে রইল পেন্সিল এবং সম্মান) সেটা জানারও আশু প্রয়োজন। তারপর দেখতে হবে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রতিটি স্ট্র্যাটেজির জন্য আপনার অপটিম্যাল স্ট্র্যাটেজিটি কি, আবার আপনার সেই সব অপটিম্যাল স্ট্র্যাটেজির মধ্যে কোনটা সব থেকে বেশী ইউটিলিটি দিচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
সমস্যা বলে সমস্যা।
কিন্তু সে সমস্যা শুধু রক্তমাংসের মানুষদেরই হবে এ কথা ভাবাটা বড় অন্যায়। গোয়েন্দাগল্পের চরিত্রদের তো সব থেকে বেশী করে এই স্ট্র্যাটেজি – প্রতিস্ট্র্যাটেজির খেলায় মেতে থাকা উচিত।
‘বাদশাহী আংটি’র বনবিহারীবাবুর কথাই ধরুন। ফেলু মিত্তিরের কাছে আংটি টা আছে জেনে নেওয়ার পর তাঁর কাছে দুটো রাস্তা খোলা ছিল – সামনাসামনি ফেলুকে কাউন্টার করা যাতে নিজের ব্যক্তিত্ব খাটিয়ে জবরদস্ত ভয় দেখানো যায় অথবা আত্মপ্রকাশ না করে গুন্ডা ভাড়া করে কিডন্যাপ করানো। ফেলুদারই বা কি কি অপশনস ছিল? বনবিহারীই যে পিয়ারিলালকে মাকড়সার ভয় দেখিয়ে মেরেছেন সেটা বোঝার পরে সবার সামনে তাঁকে চেপে ধরা অথবা অপেক্ষা করা কখন বনবিহারী নিজে থেকে ফেলু মিত্তিরের সামনে আসবেন। সবার সামনে চেপে ধরার মুশকিল হল যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ পেশ করা যাবে না আবার বনবিহারী নিজে থেকে উদয় হলে প্রাণ নিয়েই টানাটানি হতে পারে। ইন ফ্যাক্ট, ক্লাইম্যাক্সটা খেয়াল করুন – ভাগ্যে মহাবীর সঙ্গে ছিল এবং ছিল তার রিভলভারের অব্যর্থ টিপ, এর কোনোটাই না থাকলে কি হত ভাবুন। যাক গে, মূল কথাটা হল এখানে গেমটা ঠিক কি? নিচের ছবিটা একবার দেখা যাক।
যেহেতু ব্ল্যাক উইডো স্পাইডারের থিয়োরীটি ব্রিলিয়ান্ট হলেও স্পেকুলেটিভ মাত্র, এ কথা ধরে নেওয়া যেতেই পারে যে ফেলু মিত্তির সবার সামনে বনবিহারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে তিনি সেটা সঙ্গে সঙ্গেই অস্বীকার করতেন। যেহেতু বনবিহারীর স্বীকারোক্তি ছাড়া এখানে গতি নেই তাই ফেলুদার পক্ষে বনবিহারীর চালের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই, ঠিক যেরকমটি গল্পে ঘটেছে। বনবিহারীর কি করা উচিত ছিল সেটা বুঝতে গেলে আমাদের জানা দরকার একদম শেষে ফেলুর স্ট্র্যাটেজি কি হতে পারত। ভাড়াটে গুন্ডা লাগালে খুনের অভিযোগ আনাটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার কারণ কে ভাড়াটে গুন্ডা লাগিয়েছে সেটা জানা সম্ভব নয়। সুতরাং, এ ক্ষেত্রে হয়ত নিজের প্রাণের কথা না ভাবলেও তোপসের কথা ভেবে ফেলুর আংটি ফিরিয়ে দেওয়া ছাড়া গতি নেই। কিন্তু বনবিহারী যদি আত্মপ্রকাশই করেন তাহলে কি করা উচিত? ইনি যখন ভিলেনি দেখাচ্ছেন তখন ফেলু মিত্তির খুনে কথা না তুলে কি পারেন? সমস্যা হল খুনের অভিযোগটি এনে ফেললে ফেলু এবং তোপসের জীবন বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী। কিন্তু উল্টোদিকে আংটি ফিরিয়ে দেওয়া মানে আইনের চোখে বনবিহারীকে আর অপরাধী সাব্যস্ত করা যাবে না। সুতরাং, ফেলু মিত্তিরের হয়ত খুনের অভিযোগ আনা ছাড়া গতি ছিল না। তার মানে দাঁড়াচ্ছে এই যে, গেমের দ্বিতীয় স্টেজে বনবিহারীর আত্মপ্রকাশ করাটা হয়ত বা যুক্তিযুক্ত কাজ হয় নি।
কিন্তু তাই কি?
ভুলে গেলে চলবে না যে পিয়ারিলালের খুনের ব্যাপারটি যে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে সে ব্যাপারটি বনবিহারী ভাবতেই পারেন নি। অর্থাৎ, তাঁর কাছে আমাদের গেমের ব্যাপারে অসম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে। তাই বনবিহারী যখন এই গেম নিয়ে ভেবেছেন তখন গেমের তৃতীয় স্টেজে ফেলু মিত্তিরের দুটো অপশনের বদলে একটিই মাত্র চোখে পড়েছে। আর ফলত উনি ভেবেছেন যাই স্ট্র্যাটেজি উনি নিন না কেন, ফলাফলের হেরফের হবে না।
সম্পূর্ণ গেমটি বনবিহারী বুঝতে পারেননি সেটা ধরলে বলতেই হয় যে অপরাধীর বৌদ্ধিক ব্যর্থতা একটা আছেই কিন্তু যে গেম ধরে উনি এগোচ্ছিলেন তার হিসাবে হয়ত ্খুব বোকার মতন খেলাটা খেলেননি।
সব গল্পেই যে স্ট্র্যাটেজির ঘনঘটা তা কিন্তু নয়, এক্ষেত্রে খুব ভালো উদাহরণ হতে পারে ‘ঘুরঘুটিয়ার ঘটনা’। ফেলুদার ওপর দায়িত্ব পড়েছিল ‘ত্রিনয়ন ও ত্রিনয়ন একটু জিরো’ কোডটির ডিকোডিকরণের, ফেলু মিত্তির সেটাই করে যায়। কোডটি বুঝতে পারলেও অপর প্রোটাগনিস্টকে তা বলা হবে কি হবে না সে নিয়ে কোনো দ্বিধা বা ট্রেড-অফ এর চিহ্নই দেখতে পাওয়া যায় না এ গল্পে। রাস্তায় বেরিয়ে অন্য গাড়ির টায়ারের ছাপ দেখতে না পেয়ে ফেলুদার সন্দেহ হয়; গল্পের শেষে অপরাধী ধরা পড়েছে বটে কিন্তু না ধরা পড়লেও কিছু বলার ছিল না। লজিক্যালি ভাবলে বলাই চলে এ গল্পে অপরাধীর ধরা পড়াটা নেহাতই কাকতালীয়।
টিনটিনের গল্পের মতনই ফেলুদার একাধিক গল্পেও নিয়তির সহায় কিন্তু বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে নিয়ে বিশদ আলোচনায় পরে যাব, এখন ফিরে যাই গেম থিয়োরীতে।
‘সোনার কেল্লা’কে পুরোদস্তুর গোয়েন্দা গল্প বললে হয়ত একটা বিতর্কের সূত্রপাত হতে পারে কারণ এ উপন্যাসে অ্যাডভেঞ্চার রসেরও কমতি নেই। ‘সোনার কেল্লা’ বইয়ের দুখানি টার্নিং পয়েন্ট – প্রথমটি হল যোধপুরে্র দোকানে সোনার পাথরবাটি খুঁজে পাওয়া, যে বাটি দেখে ফেলুদা প্রথমবারের জন্য জয়সলমীরের কথা ভাবতে শুরু করে আর দ্বিতীয়টি হল হাজরার ইংলিশ বানানে ‘j’ র বদলে ‘z’ দেখতে পাওয়া। সোনার কেল্লা বইতে (সিনেমায় নয়) যে ক্রমানুসারে ঘটনা ঘটেছে তা থেকে আমরা জানি যে হাজরার সই নিয়ে ফেলুদা ভাবতে শুরু করে মন্দার বোসের সঙ্গে রাতের ট্রেনে মোলাকাত হওয়ার পর। অর্থাৎ মন্দার বোস আক্রমণ না করলে হয়ত তখন এই ডক্টর হাজরা যে সেই ডক্টর হাজরা নন তা নিয়ে ফেলুদার ভাবার অবকাশ থাকত না। বইতে এটাও দেখা যাচ্ছে যে ফেলুদা যোধপুরে থাকাকালীন অন্তত ডক্টর হাজরার সঙ্গে জয়সলমীর নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি। ডক্টর হাজরা ওরফে ভবানন্দ ফেলুদার জয়সলমীর যাওয়ার প্ল্যানের কথা জানতে পারে সম্ভবত মন্দার বোসে কাছ থেকেই, কারণ ফেলুদা সার্কিট হাউস ছাড়ার আগে মন্দার বোসকে বলছে, “একটু থর মরুভূমিটা দেখার ইচ্ছে আছে”।
সুতরাং, দুটো প্রশ্ন উঠে আসে – ১) ফেলুদাকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে ডক্টর হাজরার বেরিয়ে যাওয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত? আর ২) মন্দার বোস রাত্রের ট্রেনে ফেলুদাদের আক্রমণ না করলে কি হত?
ধরে নেওয়া যাক ডক্টর হাজরার এখানে দুটো স্ট্র্যাটেজি অপশন – কো-অপারেশন এবং ফাইট। কো-অপারেশন অর্থে কলকাতা থেকে আগত টিকটিকির পাশ না কাটিয়ে তার সঙ্গেই চলা, অর্থাৎ একসঙ্গে জয়সলমীর যাওয়া আর ফাইট অর্থে টিকটিকিকে জয়সলমীর যেতে না দেওয়া। মনে রাখা ভালো ফেলুদার বিকানির থেকেই একটা সন্দেহ ডক্টর হাজরার ওপর ছিল, কারণ অভিজ্ঞ চোখে ধরা পড়ে গেছিল ভদ্রলোক নিজেই নিজেকে বেঁধেছেন।সুতরাং, নকল ডক্টর হাজরা ওরফে ভবানন্দ কো-অপারেট করলেও গোয়েন্দা এবং অপরাধীর একটা কনফ্রন্টেশনের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
আবারো গেমটা দেখে নেওয়া যাক।
দু’পক্ষই কো-অপারেট করলে কি হতে পারত? জয়সলমীরে গিয়ে দেখা যেত গুপ্তধন নেই, সম্ভবত ভবানন্দ ফেলুদাকে অনুরোধ করত মুকুলকে কলকাতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য। ফেলুদা কনফ্রন্টেশনে গেলেও ভবানন্দের ক্ষতি বিশেষ কিছু হত না কারণ নিজেই নিজেকে বেঁধে ভদ্রলোক টেকনিক্যালি নিজেকে ছাড়া অন্য কারোর ক্ষতি করেননি, সুতরাং সে পয়েন্টে তর্ক চালানো মুশকিল।আর ফাইট – ফাইটের পরিণতি কি হয়েছে সে তো আমরা জানিই। ভবানন্দকে যদি বুদ্ধিমান অপরাধী হিসাবে ধরে নেওয়া যায় তাহলে বলতেই হয় টিকটিকির সঙ্গে কো-অপারেট না করাটা কাজের কাজ হয়নি । মনে হতে পারে গুপ্তধন পাওয়ার ব্যাপারে ভবানন্দ প্রায় ১০০% নিশ্চিত ছিল বলেই বোধহয় ‘ফাইট’ এর বাইরে অন্য কিছু ভাবতে পারেনি। কিন্তু মনে রাখা ভালো এ হল সিকুয়েনশিয়াল গেম অর্থাৎ ফেলুদা কি করতে পারে সেটা ভেবে ভবানন্দ তার নিজের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করবে, সে নিজে দ্বিতীয় স্টেজে কি পাবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
এবং তার মানে গুপ্তধনের ব্যাপারে ভবানন্দ নিশ্চিত ছিল কি ছিল না সেটা বড় কথা নয়, তাকে নিশ্চিত থাকতে হবে একটাই ব্যাপারে – মন্দার বোস ফেলু অ্যান্ড কোং কে মানে মানে সরিয়ে দিতে পারবে।
সোনার কেল্লার গেম কি শেষ হয়ে গেল ভাবছেন?
মোটেই না, তৃতীয় একজন প্লেয়ারের কথা তো বলাই হয়নি এখনো।
আসল ডক্টর হাজরা।
নকল ডক্টর হাজরা কো-অপারেশন স্ট্র্যাটেজি নিলেও হিসেবনিকেশ সবই গন্ডগোল হয়ে যেতে পারে এই তৃতীয় প্লেয়ারের স্ট্র্যাটেজি-সেটের ঠ্যালায়। কিন্তু সে গল্প তোলা থাকুক পরের বারের জন্য!
চমৎকার অ্যানালিসিস! চলুক!
LikeLike
দারুন 🙂
LikeLike
chomotkar, porer part r opekhai thaklam
LikeLike
Wow. 😀
LikeLike
দারুণ!
LikeLike